বিন্নাবাইদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় এলাকার শিক্ষার সুযোগ ছিল খুবই সীমিত। অগ্রসরমান সমাজ গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষানুরাগী কিছু সমাজসেবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠার শুরুতে বিদ্যালয়টি অল্প কয়েকজন ছাত্র ও শিক্ষক নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই এটি আশপাশের এলাকার শিক্ষার্থীদের কাছে এক আদর্শ শিক্ষালয়ে পরিণত হয়। সুশৃঙ্খল পরিবেশ, নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকবৃন্দ ও পরিচালনা পর্ষদের দক্ষ নেতৃত্বে বিদ্যালয়টি ক্রমাগত উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। বিগত কয়েক দশকে বিদ্যালয়টি অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি করেছে, যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে এটি একটি সুপ্রতিষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত।

"লক্ষ্যঃ-"

"গুণগত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ, নৈতিক ও মানবিক গুণসম্পন্ন নাগরিক গড়ে তোলা, যারা সমাজ ও জাতির উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।"

"উদ্দ্যেশ্যঃ-"

"একটি জ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তি-সক্ষম এবং নৈতিক মানসম্পন্ন সমাজ গঠন, যেখানে প্রত্যেকে তাদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে পারবে।" আরো যেমনঃ-

১. শিক্ষার্থীদের মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদান।

২. প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাকে আকর্ষণীয় করা।

৩. শিক্ষক ও কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি।

৪. নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলি চর্চা।

৫. সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রমের মাধ্যমে সৃজনশীলতা উন্নয়ন।

৬. জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষার মানোন্নয়ন।

অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক দ্বারা পাঠদান এবং পাঠ্যক্রম অনুযায়ী আধুনিক ও ফলপ্রসূ শিক্ষাদান পদ্ধতি, ডিজিটাল ক্লাসরুম, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ই-লার্নিং এবং আইসিটি ল্যাব সুবিধা, ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক ও শারীরিক বয়সের উপযোগী পাঠ্যবিষয় উপস্থাপন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততা, শৃঙ্খলা, দেশপ্রেম, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চা, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কুইজ, বিজ্ঞান মেলা, খেলাধুলা প্রভৃতি আয়োজনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, মাসিক পরীক্ষা, ক্লাস টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি যাচাই, বোর্ড ও জাতীয় পর্যায়ে ভালো ফলাফলের রেকর্ড এবং পুরস্কারপ্রাপ্তি, নিয়মিত অভিভাবক সভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ, বিদ্যালয় চত্বর পরিচ্ছন্ন, মনোরম এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সামাজিক সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলা